কুয়েতের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের অধ্যুষিত এলাকা মাহবুল্লাহ ও জেলিব আল সুয়েখে ১০০ দিনের দীর্ঘ লকডাউন উঠে গেছে। এর পর থেকেই সেখানকার লোকজন নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে বের হয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার মুক্তির স্বাদ নিতে আশেপাশের বেড়ানোর স্থানগুলো ঘুরতে যান।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ১০০ দিনের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর জনগণের কাজে যেতে কোনো বাধা থাকছে না। তবে তাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল করতে হবে। গত মঙ্গলবার ঘোষণার পর বুধবার সকাল থেকে এলাকা দুটির লকডাউন তুলে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে করোনা প্রতিরোধের যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল সরকার, তা কাজে লেগেছে। মাহবুল্লাহ ও জেলিব ছাড়াও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। যেসব এলাকায় বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, আলাদা করে সেসব এলাকাগুলো আগে লকডাউন করে দেওয়া হয়। সবসময় এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ছিল। যে কারণে লোকজন নিজ নিজ স্থান থেকে বাইরে বেরোতে পারেনি। এতে সেখানকার সংক্রমণের হার কমে যায়।
অন্যান্য এলাকাগুলোতেও করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কিছু এলাকায় হচ্ছে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার। মাহবুল্লাহ ও জেলিবের পর ফারওয়ানিয়া এলাকার লকডাউন তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply